ভাষা
বৈকারী ইউনিয়ন সোনাই নদী বিধৌত অঞ্চল হওয়ায় এবং পূর্বে এখানকার ব্যবসা বানিজ্য কলকতা কেন্দ্রিক হওয়া এখানকার ভাষার সাথে কলকাতার ভাষার যথেষ্ট মিল লক্ষ্য করা যায়। আমরা ভৌগলিক কারনে প্রতি ১৫/২০ কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে ভাষার ব্যবহার ও উচ্চারণে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। সে হিসাবে সাতক্ষীরা সদর তখা বৈকারী ইউনিয়নের অধিবাসীদের ভাষার সাথে যশোর অঞ্চলের ভাষার বেশ মিল লক্ষনীয়। প্রমিত চলিত ভাষার সাথে বৈকারী ইউনিয়নের অধিবাসীদের ভাষা ব্যবহারে কিছু পার্থক্য নিচের সারনীতে দেখানো হলো।
ক্রমিক নং | প্রমিত চলিত ভাষার উচ্চারণ | বৈকারী ইউনিয়নের আঞ্চলিক উচ্চরণ |
০১ | করছি | কত্তি |
০২ | খাচ্ছি | খাতি |
০৩ | দিচ্চি | দিতি |
০৪ | রাখছি | রাখতি |
০৫ | যাচ্চি | যাতি |
০৬ | দেখেছি | দেকিছ |
০৭ | বলেছি | বলিছ |
০৮ | দেখছিনা | দেখতিনে |
০৯ | পারছিনা | পাত্তিনে |
১০ | খেলতে যাবি না | খেলতি যাবি না |
১১ | শাশুড়ি | শাকড়ি |
১২ | স্নান | চ্যান |
১৩ | দেখিস | দেকিস |
১৪ | ভিক্ষা | ভিক্কে |
১৫ | পথ | পত |
১৬ | কোনটা | কোনডা |
১৭ | এবার | এইবার |
১৮ | কথা | কুতা |
১৯ | নিচ্ছি | নিতি |
২০ | ছেলে | ছ্যামড়া |
২১ | মেয়ে | ছেমড়ি |
সংস্কৃতি
সংস্কৃতি হলো সমাজের প্রতিচ্ছবি। সংস্কৃতির মাধ্যমেই একটি এলাকার ব্যক্তি, পরিবার, গোত্র, সমাজ, তথা জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে। বৈকারী ইউনিয়নের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির লিলাভূমি। এখানকার মানুষ সাধারণ ভাবে অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপ্রিয় এবং অতিথী পরায়ন। প্রাচীন কাল হতে খেলাধুলা, সাহিত্য, গীত, চিত্রকলা প্রভৃতি চর্চার জন্য এ ইউনিয়ন সুপরিচিত। যাত্রা, জারিগান, পালাগান এখানকার মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
গ্রামীন খেলাধুলায়ও এ ইউনিয়নের রয়েছে বিশেষ সুনাম। কাবাড়ি, দাড়িয়াবান্দা, ঘোড়া দৌড়, ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি প্রতিযোগিতা এখানে আড়ম্বরের সাথে অনুষ্ঠিত হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS